ক্রিয়াপদের বিভিন্ন রূপ চেনার উপায়

আরবি ভাষার ক্রিয়াপদ্গুলো বিভিন্নভাবে রুপান্তরিত হয়ে থাকে। কুরআনের শব্দাবলি (লেভেল – ১) বইয়ের ৩১ পৃষ্ঠার ক্রিয়ারপদের রূপান্তর অধ্যায়টি দেখুন। একটা ক্রিয়াপদের রূপান্তর এখানে দেখুন।
অতীত কাল | |||||
قَالَ | قَالُوا | قُلْتَ | قُلْتُمْ | قُلْتُ | قُلْنَا |
সে বলেছে | তারা বলেছে | তুমি বলেছো | তোমরা বলেছো | আমি বলেছি | আমরা বলেছি |
বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কাল | |||||
يَقُولُ | يَقُولُونَ | تَقُولُ | تَقُولُونَ | أَقُولُ | نَقُولُ |
সে বলে / বলবে | তারা বলে / বলবে | তুমি বল / বলবে | তোমরা বল / বলবে | আমি বলি/ বলবো | আমরা বলি/ বলবো |
আদেশ | কর্তা বাচক | কর্ম বাচক | |
قُلْ | قُولُوا | قَائِل | مَقُول |
বলো (তুমি) | বলো (তোমরা) | যিনি বলেন / বক্তা | যাকে বলেন / শ্রোতা |
কুরআনের শব্দাবলি বইয়ে থাকা কুরআনের সকল ক্রিয়াপদের রুপান্তরগুলো দেখুন। সবগুলো ক্রিয়াপদের রুপান্তরে একটা জিনিস কমন দেখতে পাবেন।
অতীত | বর্তমান-ভবিষ্যত | ||
শেষে | শেষে | শুরুতে | |
যবর | সে | পেশ | ي |
وا | তারা | ونَ | ي |
تَ | তুমি | পেশ | ت |
تُمْ | তোমরা | ونَ | ت |
تُ | আমি | পেশ | أ |
نَا | আমরা | পেশ | ن |
অতীত কাল চিনতে হয় পিছনের অক্ষর দিয়ে
শব্দ | অতীত কালের চিহ্ন | অর্থ |
قَالَ | শেষের অক্ষর যবর | সে |
قَالُوا | শেষে ওয়াও + আলিফ | তারা |
قُلْتَ | শেষে تَ | তুমি |
قُلْتُمْ | শেষে تُمْ | তোমরা |
قُلْتُ | শেষে تُ | আমি |
قُلْنَا | শেষে نَا | আমরা |
বর্তমান ও ভবিষ্যত কাল চিনতে হয় শব্দের সামনের অক্ষর দিয়ে
শব্দ | বর্তমান-ভবিষ্যত কালের চিহ্ন | অর্থ |
يَقُولُ | শুরুতে يَُ এবং শেষে পেশ | সে |
يَقُولُونَ | শুরুতে ُيَ এবং শেষে ওয়াও | তারা |
تَقُولُ | শুরুতে ُتَ এবং শেষে পেশ | তুমি |
تَقُولُونَ | শুরুতে تَ এবং শেষে ওয়াও | তোমরা |
أَقُولُ | শুরুতে أَ এবং শেষে পেশ | আমি |
نَقُولُ | শুরুতে نَ এবং শেষে পেশ | আমরা |
আদেশ সূচক শব্দ চিনতে হয় শব্দের সামনের অক্ষর দিয়ে
শব্দ | আদেশ সূচক শব্দের চিহ্ন | অর্থ |
قُلْ | শেষে সাকিন হবে | তুমি |
قُولُوا | শেষে ওয়াও আলিফ হবে | তোমরা |
এবার আসুন, সম্পূর্ণ নিয়মটা আমরা খুব সহজে শিখি।
অতীত কালের রুপান্তরের অর্থ করার নিয়ম | ||
নিয়ম | উদাহরণ | অর্থ |
শব্দের শেষে ‘যবর’ থাকলে ‘সে’ দিয়ে অর্থ হয়। | عَلِمَ | সে জেনেছে |
শব্দের শেষে وا (ওয়াও আলিফ) থাকলে ‘তারা’ দিয়ে অর্থ হয়। | عَلِمُوا | তারা জেনেছে |
শব্দের শেষে تَ (তা) থাকলে ‘তুমি’ দিয়ে অর্থ হয়। | عَلِمْتَ | তুমি জেনেছো |
শব্দের শেষে تُمْ (তুম) থাকলে ‘তোমরা’ দিয়ে অর্থ হয়। | عَلِمْتُمْ | তোমরা জেনেছো |
শব্দের শেষে تُ (তু) থাকলে ‘আমি’ দিয়ে অর্থ হয়। | عَلِمْتُ | আমি জেনেছি |
শব্দের শেষে نَا (না) থাকলে ‘আমরা’ দিয়ে অর্থ হয়। | عَلِمْنَا | আমরা জেনেছি |
বর্তমান-ভবিষ্যত কালের রুপান্তরের অর্থ করার নিয়ম | ||
নিয়ম | উদাহরণ | অর্থ |
শুরুতে ي (ইয়া) এবং শেষে ‘পেশ’ থাকলে ‘সে’ দিয়ে অর্থ হয়। | يَعْلَمُ | সে জানে / জানবে |
শুরুতে ي (ইয়া) এবং শেষে ون (ওয়াও নুন) থাকলে ‘তারা’ দিয়ে অর্থ হয়। | يَعْلَمُونَ | তারা জানে / জানবে |
শুরুতে ت (তা) এবং শেষে ‘পেশ’ থাকলে ‘তুমি’ দিয়ে অর্থ হয়। | تَعْلَمُ | তুমি জানো / জানবে |
শুরুতে ت (তা) এবং শেষে ون (ওয়াও নুন) থাকলে ‘তোমরা’ দিয়ে অর্থ হয়। | تَعْلَمُونَ | তোমরা জানো / জানবে |
শুরুতে أ (আলিফ) এবং শেষে ‘পেশ’ থাকলে ‘আমি’ দিয়ে অর্থ হয়। | أَعْلَمُ | আমি জানি / জানবো |
শুরুতে ن (নুন) এবং শেষে ‘পেশ’ থাকলে ‘আমরা’ দিয়ে অর্থ হয়। | نَعْلَمُ | আমরা জানি / জানবো |
আদেশ সূচক রুপান্তরের অর্থ করার নিয়ম | ||
নিয়ম | উদাহরণ | অর্থ |
শব্দের শুরুতে আলিফ এবং শেষে ‘সাকিন’ থাকলে ‘তুমি’ দিয়ে অর্থ হয়। (এর ব্যতিক্রম নিয়ম আছে, যা ক্লাসে বুঝিয়ে দেওয়া হবে) | اِعْلَمْ | জানো (তুমি) |
শব্দের শুরুতে আলিফ এবং শেষে وا (ওয়াও আলিফ) থাকলে ‘তোমরা’ দিয়ে অর্থ হয়। | اِعْلَمُوا | জানো (তোমরা) |