যেরদাতা / রোমান্টিক শব্দের ব্যবহার
যের দাতা এবং রোমান্টির শব্দ মূলত একই
পার্থক্য হলো
এদেরকে ‘যের দাতা’ শব্দ বলি, যখন এগুলো অক্রিয়াপদের পরে আসে।
এদেরকে ‘রোমান্টিক’ শব্দ বলি, যখন এগুলো ক্রিয়াপদের পরে এসে একেকবার একেক অর্থ প্রদান করে।
নিচের শব্দগুলো পড়ুন।
بِ | সাথে, হতে, দ্বারা |
عَنْ | সম্পর্কে, হতে |
فِي | মধ্যে |
كَ | যেমন, মত |
مِنْ | হতে, থেকে, -র/এর একজন |
لِ/ لَ | জন্য |
إلَى | দিকে |
تَ | কসম |
حَتَّى | যতক্ষণ না, পর্যন্ত |
عَلَى | উপরে |
مَعَ | সাথে |
وَ | এবং, কসম |
উপরের শব্দগুলো অক্রিয়াপদের আগে বসে, অক্রিয়াপদের শেষ অক্ষরে যের দেয়। এ জন্যে উপরের শব্দগুলোকে যের দাতা শব্দ বলে। যেমন,
যেরদাতা + অক্রিয়াপদ | |||
بِ | সাথে, হতে, দ্বারা | بِسْمِ | নামের দ্বারা |
عَنْ | সম্পর্কে, হতে | عَنِ النَّاسِ | মানুষের থেকে |
فِي | মধ্যে | فِي ظُلُمَاتٍ | অন্ধকারের মধ্যে |
كَ | যেমন, মত | كَعَصْفٍ | ভুষির মতো |
مِنْ | হতে, থেকে, -র/এর একজন | مِنَ النَّاسِ | মানুষের থেকে |
لِ/ لَ | জন্য | الْحَمْدُ للّهِ | প্রশংসা আল্লাহর জন্যে |
إلَى | দিকে | إِلَى السَّمَاءِ | আকাশের দিকে |
تَ | কসম | تَاللَّهِ | আল্লাহর কসম |
حَتَّى | যতক্ষণ না, পর্যন্ত | حَتَّىٰ حِينٍ | সময় পর্যন্ত |
عَلَى | উপরে | عَلَى اللَّهِ | আল্লাহর উপর |
مَعَ | সাথে | مَعَ اللَّهِ | আল্লাহর সাথে |
وَ | এবং, কসম | وَالْعَصْرِ | সময়ের কসম |
লক্ষণীয়:
১। আলিফ লাম ওয়ালা শব্দের সাথে مِنْ বসলে সেটা مِنَ হয়ে যায়। عَنْ হয়ে যায় عَنِ ।
২। যের দাতা শব্দ تَ – শপথ অর্থে কেবল আল্লাহর সাথে বসে। অন্য কোনও অক্রিয়াপদ বা ক্রিয়াপদের সাথে বসে না।
৩। যের দাতা শব্দ لِ বসে অক্রিয়াপদের সাথে, এবং لَ বসে যুক্ত সর্বনামের সাথে।
৪। كَ , تَ , حَتَّى , وَ এ ৪ টা যের দাতা শব্দ যুক্ত সর্বনামের সাথে বসে না।
যেরদাতা শব্দগুলো যুক্ত সর্বনামের আগে বসলে, যুক্ত সর্বনামকে যের দেয় না। যুক্ত সর্বনাম আগের মতোই থাকে। যেমন,
যেরদাতা + যুক্ত সর্বনাম | |||
بِ | সাথে, হতে, দ্বারা | بِهِ | তার মধ্যে |
عَنْ | সম্পর্কে, হতে | عَنْهُمْ | তাদের সম্পর্কে |
فِي | মধ্যে | فِيهِ | তার মধ্যে |
مِنْ | হতে, থেকে, -র/এর একজন | مِنْهَا | তার থেকে |
لِ/ لَ | জন্য | لَهُ | তার জন্যে |
إلَى | দিকে | إِلَيْكَ | তোমার নিকটে |
عَلَى | উপরে | عَلَيْهِمْ | তাদের উপরে |
مَعَ | সাথে | مَعَكُمْ | তোমাদের সাথে |
যেরদাতা শব্দগুলোর মধ্যে ৮ টি শব্দকে আমরা রোমান্টিক শব্দ বলি।
بِ | সাথে, হতে, দ্বারা |
لِ/ لَ | জন্য |
عَنْ | সম্পর্কে, হতে |
فِي | মধ্যে |
مِنْ | হতে, থেকে, -র/এর একজন |
إلَى | দিকে |
عَلَى | উপরে |
مَعَ | সাথে |
ক্রিয়াপদের পরে উপরের ৮ টি শব্দ আসলে, একেক সময়ে একেক অর্থ দিয়ে থাকে। এ জন্যে এ শব্দগুলোকে আমরা রোমান্টিক শব্দ বলি।
রোমান্টিক শব্দগুলো-
১। নিজস্ব অর্থ দেয় ৭০% স্থানে।
২। সমগোত্রীয় অন্য শব্দের অর্থ দেয় ১০% স্থানে।
৩। নিজের অর্থ বিলুপ্ত হয় ১০% স্থানে।
৪। নিজে উপস্থিত না থেকে অর্থ প্রদান করে ১০% স্থানে।
যেমন
- قال শব্দের পরে ل আসলে এর অর্থ হবে না।
- آمن كفر كذب এ শব্দগুলোর পরে ب আসলে এর অর্থ হয় উপরে। يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ – তারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে।
- ذَهَبَ শব্দের পরে ب আসলে বি এর অর্থ হয় না
- جاأ এবং یَّاْتُوْ এর পরে কোনও রোমান্টিক ওয়ার্ড না আসলেও ‘দিকে’ শব্দ দিয়ে সেটার অর্থ হবে। যেমন, جَاءَكُمْ رَسُولٌ তোমাদের নিকটে রাসূল এসেছে
- ইস্তাগফারা শব্দের পরে কোনও রোমান্টিক ওয়ার্ড যুক্ত না হলেও অর্থ করার ক্ষেত্রে নিকটে অর্থ হবে। فَاسْتَغْفِرُوهُ – অতঃপর তার নিকট ক্ষমা চাও
- গাফারা শব্দের পরে لَ আসলে, তার অর্থ হয় না। যেমন وَاغْفِرْ لَنَا – আমাদেরকে ক্ষমা করুন
- تاب এর পরে عَلَيْ আসলে অর্থ ক্ষমা করা। تاب এর পরে إِلَىٰ আসলে অর্থ ক্ষমা চাওয়া
- لَقي – সাক্ষাত করা, শব্দের পরে مع শব্দ না থাকলেও সাথে অর্থ হবে।
- خَلَا এর পরে اِلٰی আসলেও সাথে অর্থ হয় না।
- حَاجَّ – প্রমাণ উপস্থাপন করা, বিতর্ক করা, শব্দে পরে কোনও রোমান্টিক শব্দ ব্যবহার না হলেও ‘বিরুদ্ধে’ অর্থ হবে।
- كَفَىٰ শব্দের পরে একটা ب শব্দটি আসলে তার অর্থ হবে না। এ ক্ষেত্রে ب এর পরবর্তী শব্দ কাফা শব্দের সাবজেক্ট হবে।
- تَظٰهَرُوْنَ এর পর আলা শব্দ আসলে এর অর্থ উপরে হবে না। বিরুদ্ধে অর্থে হবে
- نَقُصُّ শব্দের পরে আলা শব্দ আসলে আলার অর্থ উপরে হয় না। নিকটে হয়।