আরবি বাক্যের অর্থ করার নিয়ম
সবার আগে ক্রিয়াপদ খুঁজে বের করতে হয়। একটা শব্দ ক্রিয়াপদ নাকি অক্রিয়াপদ তা জানার জন্যে এ লিখাটি পড়ুন।
কুরআনের আয়াত যত বড়ই হোক, সেটাকে এ নিয়মে ছোট ছোট অংশে ভাগ করতে হবে। অথবা সার্কেল করতে হবে।
প্রতিটি ছোট ছোট বাক্য নিচের পদ্ধতিতে অর্থ করতে হবে।
১। কুরআনের শব্দাবলি বইয়ের প্রাথমিক ১৫০ টি শব্দের অর্থ করতে হবে। (ব্যতিক্রম, .لَا. مَا. لَمْ. لَنْ. اَ. اَمْ. لِ এ শব্দগুলো হলে সেটা ক্রিয়াপদের পরে অর্থ হবে।)
২। পেশ ওয়ালা / ওয়াও নুন শব্দ খুঁজে বের করতে হবে। সেটাকে সাবজেক্ট বা কর্তা হিসাবে অর্থ করতে হবে। পেশ ওয়ালা শব্দ না পাওয়া গেলে, ক্রিয়াপদ থেকে সাবজেক্ট বের করতে হবে।
৩। বাক্যের শেষ থেকে অর্থ করতে হবে। অথবা এ স্টাইলটা ফলো করতে হবে: কর্তা + যের দাতা শব্দগুলো সহ পরের শব্দগুলো + যবর ওয়ালা / ইয়া নুন ওয়ালা + ক্রিয়াপদ
৫। ক্রিয়াপদের অর্থ করতে হবে।
৬। দুটা শব্দে যবর হলে হলে, প্রথম যবরের শব্দটার অর্থ আগে করতে হয়। তবে গুণবাচক শব্দ যুগল হলে শেষের শব্দের অর্থ আগে করতে হবে।
লেভেল ২
৭। সাবজেক্টের অর্থ করার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে পেশ বা ওয়াও নুন ওয়ালা শব্দের পরে যের বা ইয়া-নুন ওয়ালা কোনও শব্দ অথবা মিন আছে কিনা, যদি সাবজেক্টের পরে যের ওয়ালা বা মিন থাকে, তাহলে যের ওয়ালা শব্দ সহ অথবা মিনের পরবর্তী শব্দগুলো মিলে একসাথে সাবজেক্ট হবে।
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ – আহলে কিতাবের মধ্যে অনেকে চায়।