আদেশ সূচক শব্দগুলো একেক সময়ে একেক রকম হয় কেন?

আদেশ সূচক শব্দ একেক সময়ে একেক চিহ্ন ধারণ করে। এর কারনগুলো আমরা এখন জানবো।
আদেশ সূচক কিছু শব্দ দেখুন:
শব্দ | অর্থ | শুরুর চিহ্ন | শেষের চিহ্ন |
قُلْ | বলো (তুমি) | আলিফ ছাড়া | সাকিন |
اِعْلَمْ | জানো (তুমি) | যেরযুক্ত আলিফ | সাকিন |
اُكْفُرْ | অস্বীকার করো (তুমি) | পেশযুক্ত আলিফ | সাকিন |
اُدْعُ | ডাকো (তুমি) | আলিফ যুক্ত | সাকিন ছাড়া |
رَ | দেখো (তুমি) | আলিফ ছাড়া | সাকিন ছাড়া |
আদেশ সূচক শব্দের শেষে একটা পরিবর্তন হয়, এবং সামনে একটা পরিবর্তন হয়। এর কিছু কারণ আছে।
১। আদেশ সূচক শব্দগুলো তৈরি হয় বর্তমান কালের শব্দগুলো থেকে। বর্তমান কালের শব্দগুলোর শুরুতে তা (ت) ফেলে দিতে হয়। এবং শেষে পেশের পরিবর্তে সাকিন, অথবা নুন এর পরিবর্তে আলিফ দিতে হয়।
تُكَذِّبُ | তুমি অস্বীকার কর / করবে | تُكَذِّبُونَ | তোমরা অস্বীকার কর / করবে |
↓ | ↓ | ↓ | ↓ |
كَذِّبْ | অস্বীকার করো (তুমি) | كَذِّبُوا | অস্বীকার করো (তোমরা) |
২। তা (ت) ফেলে দিলে অনেক সময়ে সাকিন চলে আসে। সে ক্ষেত্রে পড়ার সুবিধার্থে শুরুতে একটা আলিফ দিতে হয়।
تَخْلُقُ | তুমি সৃষ্টি করো | تَخْلُقُونَ | তোমরা সৃষ্টি করে |
↓ | ↓ | ↓ | ↓ |
اُخْلُقْ | সৃষ্টি করো (তুমি) | اُخْلُقُوا | সৃষ্টি করো তোমরা |
৩। সাকিনের পরের অক্ষর পেশ হলে শুরুতে পেশযুক্ত আলিফ নিতে হয়।
সাকিনের পরের অক্ষর যবর বা যের হলে শুরুতে যেরযুক্ত আলিফ নিতে হয়।
অতীত কালের প্রথম অক্ষরে যবরযুক্ত আলিফ থাকলে, আদেশের ক্ষেত্রেও যবরযুক্ত আলিফ হয়।
تَعْمَلُ | তুমি কাজ কর / করবে | تَعْمَلُونَ | তোমরা কাজ কর / করবে |
↓ | ↓ | ↓ | ↓ |
اِعْمَلْ | কাজ করো (তুমি) | اِعْمَلُوا | কাজ করো (তোমরা) |
৪। বর্তমান কালের শেষের অক্ষর ওয়াও বা ইয়া হলে আদেশের শব্দে তা বিলুপ্ত হবে।
تَدْعُو | তুমি আহ্বান কর / করবে | تَدْعُونَ | তোমরা আহ্বান কর / করবে |
↓ | ↓ | ↓ | ↓ |
اُدْعُ | আহ্বান করো (তুমি) | اُدْعُوا | আহ্বান করো (তোমরা) |
تَرَى | তুমি দেখ / দেখবে | تَرَوْنَ | তোমরা দেখ / দেখবে |
↓ | ↓ | ↓ | ↓ |
رَ | দেখো (তুমি) | رَوْا | দেখো (তোমরা) |
বর্তমান কালের ৩য় অক্ষর যবর বা যের হলে আদেশের আলিফ যের হয়।
বর্তমান কালের ৩য় অক্ষর পেশ হলে আদেশের আলিফ পেশ হয়।
অতীত কালের ১ম শব্দে যরব ওয়ালা আলিফ থাকলে, আদেশের আলিফ যবর হয়।