যবর ওয়ালা শব্দের ব্যতিক্রমী অর্থ
এ শব্দগুলো যথা كان \ لا \ إِنَّ \ اَنَّ এর পরে অক্রিয়াপদ থাকলে, এক বচনের ক্ষেত্রে যবর হবে। এবং বহু বচনের ক্ষেত্রে ইয়া-নুন হবে। কিন্তু অর্থ কে দিয়ে হবে না।
সাধারণত কোনও শব্দে শেষে যবর থাকলে যবর থাকলে, কে/রূপে/ভাবে/হিসাবে ইত্যাদি দিয়ে অর্থ হয়।
কিন্তু কিছু স্থানে ব্যতিক্রম হয়।
১। কোনও স্থানের নামের শেষে যবর হলেও ‘কে’ দিয়ে অর্থ হয় না, ‘এ’ দিয়ে অর্থ হয়।
যেমন, لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ
তোমরা নবীর (ঘরকে) ঘরে প্রবেশ করো না।
২। ইন্না এর পরে যুক্ত সর্বনাম হলেও কে দিয়ে অর্থ হয় না। বরং মুক্ত সর্বনামের মতো অর্থ হয়।
যেমন, إِنَّهُمْ
নিশ্চয় (তাদেরকে) তারা
৩। ইন্না বা আন্না এর পরে যবর ওয়ালা অক্রিয়াপদ আসলে, সেটা যবর হলেও ‘কে’ দিয়ে অর্থ হবে না
যেমন, إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
নিশ্চয় (আল্লাহকে) আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে
৪। কানা এর পরে যবর ওয়ালা অক্রিয়াপদ আসলে, সেটা যবর হলেও ‘কে’ দিয়ে অর্থ হবে না
যেমন, مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا
ইব্রাহীম (ইয়াহুদীকে) ইয়াহুদী ছিলেন না
৫। লা শব্দে পরে যবর ওয়ালা অক্রিয়াপদ আসলে, সেটা যবর হলেও ‘কে’ দিয়ে অর্থ হবে না
যেমন, لَا إِلَهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ
আল্লাহ ছাড়া (ইলাহকে) ইলাহ নেই।
—
স্থান বা সময় বাচক শব্দে যবর আসলেও সেটার অর্থ ‘কে’ দিয়ে হয় না। ‘এ’ দিয়ে অর্থ হয়।
যেমন, لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ
তোমারা ঘরে প্রবেশ কর (ঘরকে না)