স্ত্রী বাচক আলোচনা
বাংলা ভাষায় পুরুষ এবং স্ত্রী বাচকের পাশাপাশি ক্লীব লিঙ্গ বলে কিছু আছে। যেমন, টেবিল, চেয়ার, বই কলম ইত্যাদি।
কিন্তু আরবি ভাষায় ক্লীব লিঙ্গ বলে কিছু নেই। প্রতিটি শব্দ হয় পুরুষ বাচক হবে, অথবা স্ত্রী বাচক হবে। যেমন, মাদরাসা – স্ত্রী বাচক। মসজিদ – পুরুষ বাচক। টেবিল – স্ত্রী বাচক। চেয়ার – পুরুষ বাচক
আরবি ভাষায় পুরুষ বাচক শব্দ মানেই পুরুষ নয়। স্ত্রী বাচক শব্দ মানেই নারী নয়।
স্ত্রী বাচক শব্দের জন্যে স্ত্রী বাচক ক্রিয়াপদ ব্যবহার করা হয়।
কোন শব্দ স্ত্রী বাচক?
- যে শব্দগুলোর শেষে ة অথবা ات থাকে। যেমন, مُسْلِمَةُ= মুসলিম নারী
- পুরুষবাচক অনিয়মিত বহুবচন। رَسُول = رُسُل
- কিছু শব্দ যা ক্লীব লিঙ্গ থেকে এসেছে। نار
স্ত্রী বাচক ক্রিয়াপদ কীভাবে গঠন করবো? অথবা চিনবো?
- আমি বা আমরা দ্বারা গঠিত শব্দের স্ত্রী বাচক হয় না।
- সে দ্বারা গঠিত পুরুষ বাচকের সবচেয়ে বেশি স্ত্রী বাচক হয়।
- অতীত কালের শেষে تْ এবং বর্তমান কালের শুরুতে ت দিতে হয়। যেমন, عَبَدَ থেকে عَبَدَتْ এবং يَعْبُدُ থেকে تَعْبُدُ
هو | هي | انتَ |
يَقُولُ | تَقُولُ | تَقُولُ |
تَقُولُ শব্দের দুইটা অর্থ আমরা পাই। ১ সে বলে। ২ তুমি বলো। প্রশ্ন হলো, কোন অর্থ কখন হবে, কীভাবে বুঝবো?
تَقُولُ শব্দ যদি কখনো আসে, এবং এরপরে শেষে পেশ ওয়ালা শব্দ হয়, তাহলে تَقُولُ শব্দের অর্থ হবে সে বলে। অন্য সকল ক্ষেত্রে অর্থ হবে তুমি বলো।
যেমন, لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ – তন্দ্রা তাকে স্পর্শ করবে না। এখানে تَأْخُذُ শব্দের পরে শেষে পেশ ওয়ালা শব্দ সিনাতুন এসেছে। ফলে এর অর্থ সে গ্রহণ করে বা করবে।